গণস্বাস্থ্যের কিট করোনা শনাক্তে কার্যকর নয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, গণস্বাস্থ্যের কিট করোনা শনাক্তে কার্যকর নয়। আজ বুধবার দুপুরের দিকে তিনি এ কথা বলেন।

বিএসএমএমইউর অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বাধীন পারফরম্যান্স কমিটি গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে। কমিটি আজ আজ সকালে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। পরে প্রতিবেদন সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া।


আজ বেলা একটার দিকে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য। তিনি বলেন, কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে গণস্বাস্থ্যের কিটে মাত্র ১১-৪০ শতাংশ পর্যন্ত শনাক্ত করা গেছে। এ কারণে কমিটি গণস্বাস্থ্যের কিট করোনা শনাক্তে কার্যকর নয় বলে রিপোর্ট দিয়েছে।


বিএসএমএমইউর একটি সূত্র জানায়, কোনো কিট ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত সঠিক ফলাফল না দিলে তাকে আসলে কার্যকর বলা যায় না।




গণস্বাস্থ্যের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের কাছে এখনো কমিটির রিপোর্ট আসেনি। রিপোর্ট এলে তা দেখে তারা মন্তব্য করতে পারবে।


বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া সম্প্রতি প্রথম আলোকে জানান, কমিটির রিপোর্টই শেষ কথা। এটা আর অন্য কোনো কমিটিতে যাবে না।


গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে।


গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তারা কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউকে চিঠি দেয়। গত ২ মে বিএসএমএমইউর কর্তৃপক্ষ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে। পরে বিএসএমএমইউতে কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য।


গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র‍্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে গত ২৫ মে জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। বিএসএমএমইউর পরীক্ষায়ও ২৮ মে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে।


১৩ জুন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র‍্যাপিড ডট ব্লট কিটের পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা ‘নেগেটিভ’ আসে। পরে পিসিআর পরীক্ষাতেও তাঁর করোনা নেগেটিভ এসেছে। তিনি এখন করোনামুক্ত। তবে এখন তিনি নিউমোনিয়ার জটিলতায় ভুগছেন। তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালের কেবিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।


জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরীন হক এবং ছেলে বারীশ হাসান চৌধুরী সুস্থ আছেন। তাঁরা বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁর স্ত্রী ও ছেলে দুজনেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্ত্রী পরে করোনামুক্ত হন।

সুত্রঃ প্রথম আলো।  



No comments

Powered by Blogger.